সাধারণত তেজপাতাকে আমরা রান্নার নানা কাজে ব্যবহার করি। মসলা হিসেবে রান্নার স্বাদ বাড়াতে এর জুরি নেই। কিন্তু আপনি কি জানেন নিজেকে সুন্দর আর অতুলনীয় করে তুলতে আপনি এর সাহায্য নিতে পারেন?
প্রথমেই বলা যায় চুলের কথা। আমাদের চুলের সৌন্দর্যে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ তা হলো মাথার ত্বক ভালো রাখা, মাথার ত্বককে খুশকিমুক্ত রাখা এবং চুলকে রেশমি আর ঘন করে তুলতে তেজপাতাকে ব্যবহার করা যায়।
এর জন্য ভালোমানের ১৫টি তেজপাতা বাছাই করুন। ১ লিটার পানিতে তা মৃদু আঁচে ফুটিয়ে নিন। পানির রং পরিবর্তন হলে এবং পানি শুকিয়ে ৫০০ মিলি হলে এই পানীয় ঠাণ্ডা করুন এবং একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে নিন।
মাথার ত্বকের ও চুলের যে কোনো সমস্যা সমাধানে এই পানীয়ের স্প্রে মাথায় ও চুলে লাগান। ১ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক পানিতে গোসল করে নিন। নিয়মিত ব্যবহারে এক সপ্তাহের মধ্যেই তার সমাধান পেয়ে যাবেন আপনি।
চুলের কন্ডিশনার হিসেবে প্রাকৃতিক কোনো উপাদান খুঁজতে থাকলে তেজপাতার পানিকেই ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে শ্যাম্পুর পর এই পানীয় দিয়ে চুল ধুয়ে নিবেন।
তেজপাতার তীব্র গন্ধ এবং অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল বৈশিষ্ট্যের কারণে, এটি মাথা থেকে উকুন দূর করতে সহায়তা করে। এ জন্য আপনি তেজপাতার গুঁড়ো নিয়ে সরাসরি মাথার চামড়ায় লাগাতে পারেন।
চুল পড়ার সমস্যায় কমবেশি সবাই ভোগেন। এ সমস্যারও সমাধান আছে তেজপাতায়। এর নির্যাস ব্যবহারে চুল পড়ার সমস্যা অনেকটাই কমে। পাশাপাশি খুশকি ও চুলের রুক্ষতাও কমে।
যদি আপনার দাঁত হলুদ হয় এবয় ঘরোয়া উপাদানের কোনোটিই ব্যবহার করে কোনো উপকার না পেয়ে থাকেন তরে তেজপাতার গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন। পেস্টের সঙ্গে মিশিয়ে তেজপাতার গুঁড়ো দিয়ে হাত মাজার অভ্যাসে আপনার দাঁতে ঔজ্জ্বল্য সাদাভাব ফিরে আসবে।
ব্রণের সমস্যায় চন্দন ও তেজপাতা একসঙ্গে বেটে মুখে লাগালে দ্রুত দাগ, কালো ছোপ থেকে রেহাই পাবেন। এতে ত্বক থাকবে উজ্জ্বল ও সতেজ।
অনেকের ত্বকেই ছত্রাকঘটিত সংক্রমণ দেখা দেয়। এ সমস্যার সমাধানে একটি করে তেজপাতা চার কাপ পানিতে ফুটিয়ে খেতে পারেন। দিনে ৪-৫ বার এই পানি খেলে ত্বক হয়ে উঠবে দীপ্তিময়।
তেজপাতা আপনি টোনার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন। পানিতে তেজপাতা ফুটিয়ে সেই পানীয় ঠাণ্ডা করার পর একটি স্প্রে বোতলে রেখে দিন। দিনে একবার এই পানীয় দিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন।
গায়ে দুর্গন্ধ হচ্ছে? বা ত্বক শুষ্ক হয়ে গেছে? এমন সমস্যায় ভরসা রাখতে পারেন তেজপাতার ওপরই। তেজপাতা বেটে এর সঙ্গে মিশিয়ে নিন চন্দন। এই মিশ্রণ নিয়মিত ত্বকে লাগালে আপনার দুটি সমস্যাই কমবে।
সূত্র: বোল্ডস্কাই