30 C
Dhaka,BD
May 20, 2024
OkeNewsBD
অর্থনীতি বাংলাদেশ

মুক্তি পেলেন ইভ্যালির রাসেল

কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে  মুক্তি পেয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে তথ্য নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার এর জেলার মো. তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে তিনি (মো. রাসেল) কারাগার থেকে মুক্তি পান।

তিনি আরও জানান, মো. রাসেল একাধিক মামলায় কারাগারে বন্দি ছিলেন। সব মামলার জামিনের কাগজপত্র কারাগারে এসে পৌঁছালে যাচাইবাছাই শেষে গতকাল সোমবার বিকেলে তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।

প্রতারণা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ২০২১ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক গুলশান থানায় ইভ্যালির মো. রাসেল তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরদিন বিকেলে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের স্যার সৈয়দ রোডের বাসা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে ্যাব।

এদিকে, ইভ্যালির অবসায়ন চেয়ে হাইকোর্টের কোম্পানি আদালতে আবেদন করেন ইভ্যালির গ্রাহক ফরহাদ হোসেন। এতে ইভ্যালি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাপনার জন্য একটি পরিচালনা পর্ষদ গঠনেরও আবেদন জানান। ওই আবেদনের প্রাথমিক শুনানি করে ২০২১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির স্থাবরঅস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞা দেন হাইকোর্ট।

গত বছরের ২১ এপ্রিল চেক প্রতারণার নয় মামলায় কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জামিন দেন আদালত। ওই দিন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান তিনি। তবে, তার বিরুদ্ধে আরও মামলা থাকায় কারামুক্ত হতে পারেননি রাসেল।

তার স্ত্রী শামীমা নাসরিন বর্তমানে জামিনে আছেন। হাইকোর্টের নির্দেশনায় বর্তমানে তিনি ইভ্যালির দায়িত্বে আছেন। এর আগে তিনি ইভ্যালির চেয়ারম্যান ছিলেন।

ইভ্যালির সম্পদ দায়

২০২১ সালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সম্পদ দায়ের হিসাব দাখিল করে ইভ্যালি। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ইভ্যালির মোট দায় ৫৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে এক কোটি টাকা শেয়ারহোল্ডার হিসেবে কোম্পানির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল কোম্পানিকে দিয়েছেন। বাকি ৫৪৩ কোটি টাকাই কোম্পানিটির চলতি দায়।

ইভ্যালির হিসাব অনুযায়ী, দায়ের বিপরীতে এর চলতি সম্পদ রয়েছে ৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। আর সম্পত্তি, স্থাপনা যন্ত্রপাতি মিলিয়ে রয়েছে ১৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। মোট ১০৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকার দুটির যোগফলকে দেখানো হচ্ছে স্থাবর সম্পত্তি হিসেবে। মোট দায় ৫৪৩ কোটি টাকা থেকে অঙ্ক বাদ দিলে বাকি থাকে ৪৩৮ কোটি টাকা। যাকে ইভ্যালি বলছে তার অস্থাবর সম্পত্তি। বিবরণী মেলাতে ইভ্যালি দেখিয়েছে অস্থাবর সম্পত্তি ৪৩৮ কোটি টাকার মধ্যে ৪২৩ কোটি টাকা হচ্ছে ইভ্যালির ব্র্যান্ড মূল্য, আর ১৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকা হচ্ছে অদৃশ্যমান সম্পত্তি। কোম্পানিটি নিজের ব্র্যান্ড মূল্য নিজেই নির্ধারণ করে।

গ্রাহকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ব্যবসা করেছে ইভ্যালি

আদালতের নির্দেশে ইভ্যালির ওপর একটি নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করে প্রতিষ্ঠানটির পর্ষদ। সেখানে বলা হয়, ‌রাসেল শামীমা ইভ্যালির ব্যবসা সম্প্রসারণ করলেও তাদের ততটা মেধা, জ্ঞান অভিজ্ঞতা ছিল না। গ্রাহকদের সরলতার সুযোগ নিয়ে ইভ্যালি ব্যবসা করেছে। স্বল্পসংখ্যক গ্রাহককে পণ্য দিলেও বিপুলসংখ্যককে তা দিতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি।

Related posts

সড়কে অবহেলাজনিত দুর্ঘটনা: ক্ষতিপূরণের জন্য তহবিল গঠনের দাবি

Asha Mony

হাসপাতালে ভর্তি আরও ৬৯ ডেঙ্গুরোগী

Asha Mony

সাতদিনের সফরে যুক্তরাজ্য গেলেন বিমানবাহিনী প্রধান

Asha Mony