অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ব্যবসা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে মাঝারি আকারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। কারণ, এসব প্রতিষ্ঠানে সাইবার হামলা মোকাবিলার মতো পর্যাপ্ত সক্ষমতা নেই।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই কার্যালয়ে এক সভায় এসব কথা বলেন বক্তারা। ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশনস টেকনোলজি (আইসিটি) অ্যান্ড ডিজিটাইজেশন অব ট্রেড বডিজের’ দ্বিতীয় সভা হয়।
কমিটির সদস্যরা জানান, বিশ্বের ৬৬ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অন্তত একবার সাইবার হামলার শিকার হয়েছে। ২০০২-২০ সালের মধ্যে এ ধরনের হামলার হার বেড়েছে ৮০ শতাংশ। সাইবার হামলার ৯৩ শতাংশ ঘটেছে ফিশিং মেইলের মাধ্যমে। এছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করার ঘটনাও বাড়ছে।
সাইবার হামলা প্রতিরোধে নিরাপত্তামূলক সফটওয়্যারের বাজার বছরে সাড়ে ১৪ শতাংশ হারে বাড়ছে বলে জানান বক্তারা। বর্তমানে এই বাজারের বৈশ্বিক আকার ১৫৬ বিলিয়ন ডলার।
ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতিয়ে নেওয়া প্রতিরোধ করতে কর্মীদের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের দক্ষতা ও সচেতনতা বাড়ানো জরুরি বলে মন্তব্য করেন এ খাতের উদ্যোক্তারা।
সভায় স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। এজন্য একাধিক সেমিনারের আয়োজন ও সচেতনতামূলক পোস্টার তৈরি হবে।
বৈঠকে বেশিরভাগ সরকারি অনলাইন সার্ভিস কার্যকর নয় বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে অনলাইনে সনদগ্রহণ করতে গিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে বলে জানান তারা।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান শহিদ-উল মুনীর।
এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন কমিটির কো-চেয়ারম্যান মো. নাজমুল করিম বিশ্বাস কাজল, মো. মোতাহার হোসেন খান ও এফবিসিসিআই’র মহাসচিব মোহাম্মদ মাহফুজুল হক।